ঢাকা   রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিমান ভ্রমণে জেট ল্যাগ

Daily Inqilab ইনকিলাব

২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

জেট ল্যাগ। যারা নিয়মিত বিমান ভ্রমণ করে তাদের কারও কারও এই সমস্যা দেখা যায়। একে জেট ল্যাগ ডিজঅর্ডারও বলে। জেট ল্যাগে ঘুমের সমস্যা হয়। দিনের বেলায় ক্লান্তি লাগে। অস্বস্তি হয়। পেটের নানা সমস্যাও দেখা দেয়।
পাইলট, বিমান সেবিকা, যারা ব্যবসা বা অন্য প্রয়োজনে নিয়মিত ভ্রমণ করে তাদের জেট ল্যাগের সমস্যা বেশি হয়। তরুণদের থেকে বৃদ্ধদের এ সমস্যা বেশি হয় এবং সমস্যা উত্তরণে বেশি সময় লাগে।
আমাদের সবার মধ্যেই একটা দেহঘড়ি আছে। তার একটা নির্দিষ্ট রিদম বা ছন্দ আছে। প্লেনে খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়া যায় ফলে সময়ের পরিবর্তণ দ্রুত হয়, যা দেহঘড়ি মানিয়ে নিতে পারে না সহজে। আবার দেহঘড়ির ছন্দের ওপর সূর্যালোকের প্রভাব আছে। কারণ সূর্যালোকের সাথে মেলাটনিনের যোগাযোগ আছে। মেলাটনিন দ্বারা শরীরে বিভিন্ন কোষে সিগন্যাল পৌঁছায়। যেহেতু প্লেনে এই সূর্যালোকের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিবর্তন হয় তাই মূলত জেট ল্যাগ দেখা যায়। তবে বর্তমান গবেষণায় আরো কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। বিমানের ভেতর বিভিন্ন চাপ এবং বিমানের উচ্চতার জন্যেও জেট ল্যাগ হয় বলে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন।
জেট ল্যাগ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। যেমন-
১। ঘুমের সমস্যা।
২। দিনের বেলায় ক্লান্তি।
৩। মনোযোগের ঘাটতি।
৪। ডায়রিয়া।
৫। কোষ্ঠকাঠিন্য।
৬। অস্বস্তি।
৭। মাংসপেশীতে ব্যথা।
৮। মাসিকে সমস্যা ইত্যাদি।
জেট ল্যাগে তেমন কোন চিকিৎসা লাগে না। তবে যারা নিয়মিত প্লেনে ভ্রমণ করে তাদের জেট ল্যাগ হলে কাজে ব্যঘাত হয় তাই তারা ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ খাবেন। জলপিডেম, এসজপিক্লোন, জালেপ্লন এবং ট্রায়াযোলাম জাতীয় ওষুধ জেট ল্যাগে ভাল কাজ করে। লাইট থেরাপীও জেট ল্যাগে উপকারী। এক্ষেত্রে উজ্জ্বল আলো দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
বৈশ্বিক এই যুগে জেট ল্যাগ এখন খুব পরিচিত সমস্যা। যেহেতু আজকাল অনেক বেশি দেখা যায় তাই ভয় নয় এ বিষয়ে করনীয় জানতে হবে সকলকে।

ডা. মোঃ ফজলুল কবির পাভেল


বিভাগ : স্বাস্থ্য


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

কাঁচকলার উপকারিতা
অপরিণত নবজাতকরাও ফিরবে স্বাভাবিক জীবনে
চোখ ওঠা রোগের কারণ ও প্রতিকার
ডায়াবেটিস রোগীর হৃদরোগের ঝুঁকি
থানকুনির রোগ নিরাময় গুণ
আরও

আরও পড়ুন

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী অত্যন্ত যৌক্তিক

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

পাঠ্যবই ছাপায় অনিয়মে আনন্দ প্রিন্টার্সকে সতর্কতা

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

দক্ষিণ লেবাননে ৬ চিকিৎসাকর্মী নিহত

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

জনগণের সাথে জনসংযোগ বাড়াতে হবে

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না কেউ গায়ে পড়লে জবাবের প্রস্তুতি রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

বাফুফের নতুন সভাপতি তাবিথের কাছে ২৭ রেফারির চিঠি

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

ফের বাড়লো সোনার দাম, ভরি ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বাংলাদেশে খেলা নিয়ে অনিশ্চিয়তায় হামজা!

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফের খেলা

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

সিলেটে মাজিদের ফিফটি

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

অ্যাম্বাসেডর কাপ উশুতে সেনাবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

মাদক শুধু ব্যক্তিকে নয় পরিবারকেও ধ্বংস করে

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মেরে আ.লীগ নিজেদের ভাগ্য গড়েছে : এমরান সালেহ প্রিন্স

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

ধর্মদ্রোহী সরকারের সময় কোনো ধর্মই নিরাপদ ছিল না

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

দৌলতখানে শীতকালীন সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

সুন্দরগঞ্জে ছয় পা বিশিষ্ট বাছুরের জন্ম

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

বৈষম্যের শিকার কুমিল্লার ১৫ হাজার এতিম শিশু

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

দালালচক্রে জিম্মি রোগীরা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই সাটুরিয়ার শিশু শিক্ষার্থীদের ভরসা

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ

পঞ্চগড়ে চিকিৎসক পদায়নের দাবিতে সড়ক অবরোধ